আকাশ খান (কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের চর লাঠিয়াল ডাঙ্গাগ্রামের কৃষক মোঃ মাইদুল ইসলাম (৩২) এবার উচ্চ ফলনের আশায় ব্রি ধান ১০৩ জাতের আমন ধান চাষ করেছেন। বন্যা ও খরার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও চরাঞ্চলে মাইদুল ইসলামের মতো তরুণ কৃষকেরা ধান চাষে এগিয়ে আসছেন, যা কৃষি খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
মাইদুল জানান, ব্রি ধান ১০৩ জাতটি দ্রুত বড় হয় এবং বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ভালোমতন ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের ধান চাষ করতে তুলনামূলক কম সেচ এবং সার প্রয়োজন, ফলে কম খরচেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। মাইদুলের মতে, এই ধানের দানাগুলো বড় এবং সোনালি রঙের হয়, যা বাজারে চাহিদা ও মূল্যে অনেক বেশি।
চরাঞ্চলের কৃষকরা সাধারণত নিজেদের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত থাকলেও মাইদুল ইসলামের মতো কিছু সাহসী কৃষক নতুন জাত ও আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার তার জমির ধান থেকে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, যা তার পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রি ধান ১০৩ জাতটি উঁচু-নিম্ন জমিতেও চাষযোগ্য এবং পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, ফলে এটি চরাঞ্চলের মতো এলাকায় অত্যন্ত উপযোগী। সরকারের কৃষি বিভাগ থেকেও এই ধানের চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা জানান, চরাঞ্চলে উচ্চ ফলনের ধান চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং কৃষি খাতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
মাইদুল ইসলাম জানান, তিনি এই ধানের চাষ থেকে ভালো লাভের আশা করছেন এবং ভবিষ্যতে এই জাতের ধান আরও বেশি জমিতে চাষের পরিকল্পনা করছেন। তার মতে, যদি সঠিক সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, তাহলে তিনি উচ্চ লাভবান হবেন।
এ ধরনের সফল কৃষকদের প্রচেষ্টা দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছেন। এমন কৃষি উদ্যোগ দেশের চরাঞ্চলগুলোতে কৃষির সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।
সম্পাদক: ইলিয়াস আমিন, প্রকাশক: এনামুল হক জুনায়েদ
কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
যোগাযোগ: ০১৯০৭-৮৩৬৮০৮, ইমেইল: newsnagar@gmail.com
নিউজ নগর