প্রতিবেদন:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের চর লাঠিয়ালডাঙ্গা এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সম্প্রতি এলাকাবাসীর অভিযোগে উঠে এসেছে, বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মেরামত কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। অথচ রাস্তার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সরকারি শ্রমিকদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, সরকারি শ্রমিকদের দিয়ে তেমন প্রয়োজনহীনভাবে এক স্থান থেকে পাথর সরিয়ে অন্য স্থানে রাখা হচ্ছে। আরেকটি ছবিতে চর লাঠিয়ালডাঙ্গা রাস্তার অবস্থা দেখানো হয়েছে, যেখানে মাঝখানে প্রায় পাঁচ ফুটের গর্ত তৈরি হয়েছে। এই গর্তটি এতটাই গভীর যে এটি মানুষের চলাচল ও যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিন মাস আগে বন্যার পানি নেমে গেলেও রাস্তা মেরামতের জন্য এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং বরাদ্দ থাকা কর্মীদের অন্য কাজে ব্যবহার করে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয়দের মতে, যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ এবং রৌমারী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়নি। এলাকা থেকে দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন:
এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, বরাদ্দ থাকা শ্রমিক এবং অর্থায়ন সত্ত্বেও কেন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থেমে আছে? তাঁরা এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উপসংহার:
চর লাঠিয়ালডাঙ্গার রাস্তার মেরামত শুধু স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নয়, বরং এলাকায় অর্থনৈতিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেও গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা দূর করে দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।