তানিম আহমেদ নালিতাবাড়ী, শেরপুর ( প্রতিনিধি)।
মাঠের এই প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেদিকে চোখ যাই সরিষা ফুলের স্নিগ্ধ গন্ধে কৃষকের মনে যেন একটু শান্তির আবাস বইছে। নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে স্থানীয় জাতের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার চাষ বেশি করেছে কৃষকরা।
এ বছর উপজেলায় মোট ২ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ ছাড়া চাষকৃত জমির মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া উন্নত জাতের বারি সরিষা লাগিয়েছে বেশিরভাগ কৃষকরা। যা থেকে ২ হাজার ৮৯৭ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে কৃষি অফিস থেকে।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে বারি-সরিষা ১১ ও ১৪ এবং ছাড়াও স্থানীয় জাতের পাশাপাশি টরি-৭, সরিষার চাষ করেছে কৃষকরা। উচ্চ ফলন জাতের সরিষায় স্থানীয় জাতের তুলনায় দেড় থেকে দুই গুণ বেশি ফলন হয়।
স্থানীয় জাতের সরিষায় যেখানে হেক্টর প্রতি ফলন হয় ০.৫ থেকে ০.৬ টন, সেখানে উচ্চ ফলনশীল জাতে হেক্টর প্রতি ফলন হয় ১ থেকে দেড় টন। এ কারণে সরিয়া চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিনসহ দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে স্থানীয় বাজারে সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় মাঠে সরিষার অবস্থা ভালো হওয়ায় কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার গোবিন্দনগড় গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম ও সালাম মিয়া চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ৬০ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১১ সরিষার প্রদর্শর্নী ক্ষেত করেছেন। যা থেকে থেকে উভয় কৃষক প্রায় ১০/১২ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কৃষকদের উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত করায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় স্থানীয় জাতের চেয়ে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। মাঠে সরিষা ভালো হয়েছে। কৃষকরা চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সরিষার ফলন পাবে বলে আশা করি।