গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ড্রোন আক্রমণে বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে খান ইউনিস ও রাফা শহর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোররাতে ঘুমন্ত মানুষের ঘরের উপর বোমা বর্ষণ হয়েছে। একাধিক পরিবার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের মৃতদেহ উদ্ধার করছেন।
শিশুদের জন্য গাজা এখন মৃত্যুপুরী
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় অন্তত ১০ লাখ শিশু এখন মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। খাদ্য, পানি এবং ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নবজাতক এবং ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য একেবারেই অনুপস্থিত।
মানবিক সহায়তা ব্যাহত, আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রপ্রধানরা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে যুদ্ধ বন্ধের কোন ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলি।
উপসংহার
গাজা এখন এক খোলা কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে। শিশুদের কান্না, মায়েদের আর্তনাদ, এবং মানবতার করুণ চিত্র বিশ্ববাসীর হৃদয় নাড়া দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।