প্রকাশের তারিখ: ৭ মে ২০২৫
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগাম এলাকায় একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। ভারত দাবি করে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ জড়িত।
৭ মে ভোরে ভারতীয় বিমান বাহিনী “অপারেশন সিন্ধুর” নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল রাফাল জেট, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার বোমা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ৪০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়।
পাকিস্তান এই হামলাকে “যুদ্ধের ঘোষণার সমতুল্য” বলে উল্লেখ করে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানায়, ভারতীয় বিমান হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান আরও দাবি করে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে, যদিও ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ভারত ১৯৬০ সালের ইন্দাস পানি চুক্তি আংশিকভাবে স্থগিত করে এবং কিশানগঙ্গা ও বাগলিহার বাঁধ দিয়ে পাকিস্তানে পানি প্রবাহ সীমিত করে দেয়।
পাকিস্তান এটিকে “জল যুদ্ধের সূচনা” বলে ঘোষণা করে, যা নতুন এক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতি কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকেও অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ায় সংঘাতের ব্যাপকতা বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক সংযমই এই সংকট নিরসনের একমাত্র উপায়।
সম্পাদক: মো: সোলাইমান হোসেন প্রকাশক: এনামুল হক জুনায়েদ
কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
যোগাযোগ: ০১৯০৭-৮৩৬৮০৮, ইমেইল: newsnagar@gmail.com
নিউজ নগর