ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আবারো বাড়ছে উত্তেজনা। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে, তার প্রভাব শুধু উপমহাদেশেই নয় — ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়। এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় আশঙ্কার জায়গাগুলোর একটি হচ্ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ।
প্রথমেই অর্থনীতির কথা বললে দেখা যায়—বাংলাদেশের স্থলবাণিজ্যের একটি বড় অংশ ভারত হয়ে চলে। যুদ্ধের কারণে বন্ধ হতে পারে বন্দরপথ, থেমে যেতে পারে আমদানি-রপ্তানি। ফলে বাড়বে পণ্যের দাম, তৈরি হবে দ্রব্যমূল্যের চাপ।
বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যে পড়তে পারে বড় প্রভাব। মূল্যস্ফীতি বাড়লে সাধারণ মানুষ পড়বে দুর্ভোগে।
যুদ্ধ শুরু হলে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে শরণার্থী ঢুকে পড়তে পারে বাংলাদেশে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে ১৯৭১ সালে। এবারও সেই ঝুঁকি অস্বীকার করা যায় না।
এছাড়া কূটনৈতিক চাপও বাড়বে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
যুদ্ধের কারণে আকাশপথ বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটতে পারে, যা বাংলাদেশের যাত্রী ও বাণিজ্যিক পরিবহনকে প্রভাবিত করতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবস্থান নেয়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এই সময়টিতে কৌশলগত প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। যুদ্ধের উত্তাপ যখন চারপাশে, তখন নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে আমাদের।
সম্পাদক: মো: সোলাইমান হোসেন প্রকাশক: এনামুল হক জুনায়েদ
কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
যোগাযোগ: ০১৯০৭-৮৩৬৮০৮, ইমেইল: newsnagar@gmail.com
নিউজ নগর