নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিক হাসান
কাশ্মীরের পহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তান সীমান্তে ফের চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি জবাবি অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান এটিকে “যুদ্ধ ঘোষণা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
কাশ্মীর হামলা ও ভারতের পদক্ষেপ:
গত সপ্তাহে পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহত হন অন্তত ২৬ জন। এর জবাবে ভারত কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে “অপারেশন সিঁদুর” চালায়। ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গি সংগঠনগুলোর ঘাঁটি ধ্বংস করা।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও হুঁশিয়ারি:
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং এর জন্য মূল্য চুকাতে হবে। দেশটি তাদের বিমানঘাঁটি রাহিম ইয়ার খান আংশিক বন্ধ করে NOTAM জারি করেছে। এদিকে পাকিস্তানে একটি ইজিপ্টের কার্গো বিমান অবতরণ ঘিরে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা শঙ্কা:
এই সংঘাতে বিশ্ব শক্তিগুলো উদ্বিগ্ন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর এটি সবচেয়ে বড় সামরিক উত্তেজনা। উভয় দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুতের কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান:
বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। তবে এই দেশগুলো উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
উপসংহার:
বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।