ঢাকা, ২০ মে ২০২৫ — ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষের চেয়ে এখন বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ক্ষুধা ও মানবিক সংকট। ইসরায়েলি অবরোধ ও অব্যাহত হামলায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত মাইকেল ফখরি সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজার খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে ।
ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্না, অভিভাবকদের অসহায়তা
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক জরিপে দেখা গেছে, গাজায় শিশুদের একটি বড় অংশ দিনে একবেলারও কম খাবার পাচ্ছে। অনেক বাবা-মা নিজের খাবার ত্যাগ করে সন্তানদের মুখে তুলে দিচ্ছেন, তবুও প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না ।
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা
গত মার্চ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর আকস্মিক বিমান হামলায় এক রাতেই ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ধসে পড়া ভবনের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন ।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ।
ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বর্বরতা থামছে না। নতুন করে আবারও পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীরা ।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার এই মানবিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায়, এই সংকট আরও গভীর হয়ে উঠবে এবং এর প্রভাব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপরও পড়বে।