কক্সবাজারের টেকনাফে ২০২০ সালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের মামলায় উচ্চ আদালত চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হাইকোর্ট বহাল রেখেছে। একইসাথে মামলার ছয়জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল থাকে।
📅 রায়ের তারিখ: ২ জুন ২০২৫
⚖️ রায় প্রদানকারী বেঞ্চ: বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন
🔎 ঘটনার পটভূমি:
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। তিনি একটি ভ্রমণ ও ডকুমেন্টারি প্রকল্পে কাজ করছিলেন। এই ঘটনা সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
👨⚖️ প্রথমিক বিচার ও রায়:
২০২২ সালের জানুয়ারিতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিরা পরে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
⚖️ হাইকোর্টের রায়:
হাইকোর্ট আজকের রায়ে পূর্বের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় বহাল রাখেন। আদালত বলেন, “এই হত্যা ছিল পরিকল্পিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের চূড়ান্ত উদাহরণ।”
🧑✈️ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা:
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত:
- প্রদীপ কুমার দাশ (সাবেক ওসি, টেকনাফ)
- মো. লিয়াকত আলী (সাবেক ইনচার্জ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র)
- 🟨 যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত (৬ জন):
- নন্দ দুলাল রক্ষিত – উপ-পরিদর্শক (এসআই), বরখাস্ত
- সাগর দেব – সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), বরখাস্ত
- রুবেল শর্মা – কনস্টেবল, বরখাস্ত
- নুরুল আমিন – স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের পক্ষের সাক্ষী
- মো. নেজামউদ্দিন – স্থানীয় বাসিন্দা
- মোহাম্মদ আয়াজ – স্থানীয় বাসিন্দা
📣 পরিবার ও সমাজের প্রতিক্রিয়া:
মেজর সিনহার পরিবার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত সাজা কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে। সাধারণ মানুষও এই রায়কে আইনের শাসনের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখছে।