আজকের সমাজে যেখানে মানুষ সামান্য সুযোগ পেলেই নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, সেখানে এক রিকশাচালক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সততা, নৈতিকতা ও মানবিকতার। নাম তার দিগন্ত কুমার দাস। তিনি একটি ভাড়ায়চালিত রিকশা চালান, যেটি **ধারাভাষ্যকার রবিউল ইসলাম–এর মালিকানাধীন।
ঘটনার শুরু আজ সকালে। এক গৃহবধূ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাজার করতে বের হন, এবং অসতর্কতার কারণে প্রায় ৫ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের নেকলেস রাস্তায় হারিয়ে ফেলেন। স্বর্ণের এমন মূল্যবান গহনা হারিয়ে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েন। কিন্তু ভাগ্যের লিখন ছিল ভিন্ন।
ঠিক সেই সময় ওই রাস্তায় ছিলেন দিগন্ত কুমার দাস। গহনাটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তিনি তা কুড়িয়ে নেন। কেউ না দেখলেও, দিগন্ত কুমার দাসের অন্তরের চোখ ছিল খোলা। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বুঝতে পারেন, এটি কোনো সাধারণ জিনিস নয় – এটি হয়তো কারও কষ্টার্জিত সম্পদ, হয়তো কারও পারিবারিক স্মৃতিবাহী গহনা।
তিনি মালিক খোঁজার চেষ্টা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে নেকলেসটি নিরাপদে হারানো মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেন। দিগন্তের এই উদাহরণ আজকের সমাজে একটি বিরল ঘটনা। তার সততা ও আন্তরিকতাই তাকে করে তুলেছে বিশেষ একজন মানুষ।
এই অসাধারণ কাজের জন্য তাকে সম্মান জানানো হয়। তার ইচ্ছানুযায়ী, তাকে উপহার হিসেবে একটি স্মার্টফোন প্রদান করা হয়েছে, যা তার জীবনযাত্রায় কিছুটা হলেও স্বাচ্ছন্দ্য আনবে বলে আশা করা যায়।
ঘটনার সাক্ষী ও নেকলেসটির মালিক পক্ষের এক সদস্য বলেন,
“এমন সত মানুষ সমাজে এখনও আছে—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। দিগন্ত ভাই শুধু স্বর্ণের নেকলেস ফেরত দেননি, ফেরত দিয়েছেন আমাদের বিশ্বাস।”
এই ঘটনাটি শুধুই একটি গহনা ফিরে পাওয়ার নয়, এটি একটি বার্তা বহন করে—সততা এখনও জীবিত, নৈতিকতা এখনও মূল্যবান। দিগন্ত কুমার দাসের মতো মানুষেরাই প্রমাণ করেন, এই পৃথিবী এখনও টিকে আছে কিছু সত্যিকারের ভাল মানুষের জন্য।
আমরা সমাজের পক্ষ থেকে দিগন্ত কুমার দাসকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।
সংবাদ প্রতিবেদক \অনিক হাসান]
তারিখ: [৬/১৭/২০২৫]