✍ নিউজনগর ডেস্ক | ১৯ জুন ২০২৫
“যে ঘর জ্বালিয়ে দেয়, সেই এখন চিৎকার করে আগুনের ভয় দেখাচ্ছে”—এই প্রবাদ যেন হুবহু মিলে যায় ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।
গত কয়েক সপ্তাহে ইরানের অভ্যন্তরে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা, বৈজ্ঞানিক হত্যাকাণ্ড এবং পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো সাইবার আক্রমণ আবারও নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং তাদের সামরিক বাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্কের ঝড় বইছে।
🎯 প্রথমে কে আক্রমণ করল?
বিশ্ব মিডিয়া যখন ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির বিষয় নিয়ে তর্জন-গর্জন করছে, তখন একটাই প্রশ্ন উঠছে—প্রথম গুলি কে চালালো?
ইরান কি হঠাৎ করেই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে আগ্রহী হলো?
নাকি একের পর এক গুপ্তহত্যা, হামলা, নিষেধাজ্ঞা আর আন্তর্জাতিক চাপে পিষ্ট হয়ে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ইরান এই পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে?
🧠 বিশ্লেষকরা যা বলছেন:
প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইসহাক বিন জামিল বলেন—
“যখন আপনি একটি জাতিকে কোণঠাসা করবেন, তাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করবেন, তাদের পরিকাঠামোতে বোমা ফেলবেন, তখন তারা প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি নেবেই। আর এটাই এখন ইরানের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে।”
⚖ একতরফা বিচার!
বিশ্বে এমন একটি দেশ আছে—ইসরায়েল—যারা পারমাণবিক অস্ত্রের গুদাম বানিয়ে বসে আছে, কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়, আইএইএ’র পর্যবেক্ষণ নেই, কোনো স্বচ্ছতা নেই।
অথচ ইরান, যারা এখনও পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেনি, তারা দিনের পর দিন চাপের মুখে।
দুই দেশের জন্য দুই আইন!
ইসরায়েল পারমাণবিক শক্তি হলে সেটা নিরাপত্তা, আর ইরান চাইলেই সেটা “সন্ত্রাস”!
🌍 বিশ্বের বিবেক কোথায়?
মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন—এই সব শব্দ শুধু কি দুর্বল রাষ্ট্রের গলায় ফাঁসির দড়ি?
নিউজনগর প্রশ্ন তোলে—কেন ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘ চুপ? কেন মিডিয়া নিরব?
🔚 উপসংহার: ইতিহাস কি ইরানকেই দায়ী করবে?
ইতিহাস বলে, যুদ্ধ কখনো একতরফা হয় না। যারা আক্রমণ করে, তারাও দায়ী হয়।
আজ ইরান যদি পারমাণবিক পথে হাঁটে, তাহলে তার একমাত্র কারণ—ইসরায়েলের আগ্রাসন ও পশ্চিমাদের মদতপুষ্ট নীতিগত বৈষম্য।