প্রতিবেদন:
পিয়ংইয়ং, উত্তর কোরিয়া – মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল উত্তেজনার আবহে নতুন মোড় নিল আন্তর্জাতিক কূটনীতি। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ইজরায়েলকে “মানবতার ভাইরাস” হিসেবে আখ্যায়িত করে একযোগে দশটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা KCNA জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেওয়া এই ঘটনার পেছনে কিম জং উনের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট:
“ইজরায়েল কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো মানবজাতির জন্য একটি ভয়ানক ভাইরাস। এটি ধ্বংস না হলে বিশ্ব শান্তির কোন আশা নেই।”
তিনি ইরানকে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম স্বাধীনতার লড়াকু জাতি’ আখ্যায়িত করে তাদের বর্তমান প্রতিরোধকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। কিম আরও বলেন,
“ইরানের প্রতিরোধ আন্দোলন নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক সাহসী ঘোষণা। উত্তর কোরিয়া এ সংগ্রামে নৈতিকভাবে ও কৌশলগতভাবে ইরানের পাশে রয়েছে।”
এই ঘোষণা আসার পরই উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলে দশটি স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে, যা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পতিত হয়। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত একটি কৌশলগত প্রদর্শনী, যা আমেরিকা ও তার মিত্রদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে।
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ বিশ্ব নিরাপত্তা পরিসরে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। কারণ, এটি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধকে একটি সম্ভাব্য বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এই মিসাইল উৎক্ষেপণকে ‘উসকানিমূলক ও অস্থিরতা সৃষ্টিকারী’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক আহ্বান করেছে।
সারাংশ:
ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কিম জং উনের সরাসরি হস্তক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তাকেও নতুন করে আলোচনায় এনেছে। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অভূতপূর্ব পদক্ষেপের জবাব কীভাবে দেয়।