কিশোরগঞ্জ, ২৬ জুন ২০২৫
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা ও উদ্বেগ। সাংবাদিকদের নজরে আসে হাসপাতালের এক কোণায় পড়ে আছে এক মহিলার নিথর দেহ।
প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ কিংবা পরিচয় কিছুই জানা যাচ্ছিল না। সাংবাদিকরা তথ্য জানতে চাইলে হাসপাতালের নার্স ও কর্তব্যরত কিছু চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকেও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, মৃত মহিলা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার বাসিন্দা। তিনি আজ সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বিষপান করেন বলে দাবি করা হয়। সকাল ১০টার দিকে তাকে শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেলে আনা হয়, তবে দুঃখজনকভাবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল বিনা যত্নে ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই।
স্থানীয় কিছু প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালে আসা আত্মীয়-স্বজন জানান, ভুক্তভোগী নারী মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং পারিবারিক জীবনে নানা চাপ ও অবহেলার মধ্যে ছিলেন।
তবে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে—
বিষপান করার পর যথাযথ চিকিৎসা কী আদৌ দেওয়া হয়েছিল?
কেন ৫ ঘণ্টা ধরে মৃতদেহ放ে থাকে কোনো যত্ন বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া?
কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করলেন?
মানসিক প্রতিবন্ধকতা ছিল কি বাস্তব, নাকি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা?
এই ঘটনার পেছনে সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তারা আরও বলেন, একটি মৃতদেহের প্রতি এমন অবহেলা ও রহস্যজনক আচরণ সাধারণ মানুষের আস্থাকে ক্ষুন্ন করে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দ্রুত তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।