চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলবেলা ঘটে যাওয়া এই সংঘর্ষে এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র আতঙ্ক।
🕓 কখন ও কোথায়
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে ২৯ জুলাই বিকেলে রাউজান উপজেলার সত্তারহাট এলাকায়, যেখানে দুই দলীয় গ্রুপ একে অপরের সামনে পড়ে যায়। একই সময় আলাদা কর্মসূচি আয়োজন করায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
⚔️ কীভাবে শুরু হয় সংঘর্ষ?
এক পক্ষ শোভাযাত্রা নিয়ে রাস্তায় নামলে, অপর পক্ষ কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মিছিল করে এগিয়ে আসছিল। রাস্তার একপ্রান্তে যখন একটি বহর পৌঁছায়, তখনই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা, যা দ্রুত ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।
🧨 ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
সংঘর্ষ চলাকালীন:
- একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়
- কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়
- স্থানীয় একটি পুলিশ পিকআপে হামলার চেষ্টা হয়

👥 আহতদের অবস্থা
উভয় পক্ষের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছেন, কারও হাতে লাঠির আঘাত। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
🚨 প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাস্তা ক্লিয়ার করে এবং দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
🎙️ কী বলছে উভয় পক্ষ?
এক পক্ষ বলছে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিল, অপর পক্ষ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। অন্য পক্ষ দাবি করছে, উসকানি দেওয়া হয়েছে তাদের দিক থেকে নয়, তারা হামলার শিকার হয়েছে।