মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গোলাম ফারুক তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের অবৈধ ব্যবহার এবং কোটা সিস্টেমে দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, গোলাম ফারুকের তিন সন্তান ইতিমধ্যে সরকারি চাকরি পেয়েছে। তবে, অভিযোগ উঠেছে যে তিনি দুটি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে আরও দুই সন্তানকে চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এর মধ্যে, তানিয়া আক্তার নামক এক ব্যক্তি, যিনি গোলাম ফারুকের ভাতিজি হলেও তাকে নিজের মেয়ে হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি সরকারি চাকরি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক এবং ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এছাড়া, গোলাম ফারুকের পরিবার ও তাদের সম্পর্ক নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। তার ছোট মেয়ে রুনী আক্তারের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ কথা বলার পর উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে উত্তেজিত করলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে একপর্যায়ে গোলাম ফারুকের ছোট মেয়ে রুনী আক্তার উত্তর দেয় যে হেলেনা বেগম তার চাচী থাকা সত্ত্বেও তার পিতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো। অভিযুক্ত তানিয়া আক্তারসহ তারা আপন চার বোন বলে দাবি করেন,অথচ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশান সনদ পত্র অনুযায়ী তারা আপন তিন বোন ১. শারমিন স্মৃতি ২. রোজিনা বেগম, ৩.রুনী আক্তার
বানানো মেয়ে তানিয়া আক্তারের স্বামী এহিয়ার সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বললে একই কথা বললে জানান, জিতু মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম তার শাশুড়ি থাকা সত্ত্বেও সে গোলাম ফারুকের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। অথচ এলাকাবাসী বলেন, জিতু মিয়া ও হেলেনা বেগম স্বামী-স্ত্রী তাদের তিন সন্তান একটি মেয়ে ও দুটি ছেলে মেয়ে তানিয়া আক্তার, ছেলে উজ্জল মিয়া ও ইকবাল হোসেন ।
এলাকাবাসী জানাচ্ছেন যে, হেলেনা বেগম ও জিতু মিয়া, তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচিত, , জিতু মিয়া তাঁর আপন বড় ভাই গোলাম ফারুককে হেলেনা বেগমের স্বামী হিসেবে দাবি করছেন, যদিও হেলেনা বেগম ও জিতু মিয়া স্বামী-স্ত্রী। এই অস্বাভাবিক সম্পর্ক এবং নোংরা পরিচয়ের কারণে এলাকাবাসী তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিমত হলো, গোলাম ফারুক এবং তাঁর পরিবারে ঘটিত এইসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সম্পর্কের নিন্দা করা উচিত। তারা দাবি করছেন যে, এমন ধরনের কার্যকলাপ সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গোলাম ফারুক বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ প্রশাসন এই অভিযোগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় জনগণ সরকারের কাছে তীব্র দাবি জানিয়েছে, যাতে এই ধরনের দুর্নীতি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের বিষয়, যা ভবিষ্যতে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাবাসী আশাবাদী যে, প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবে।