কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় আবাদি জমি ও জলাশয় কেটে বাড়িঘর নির্মাণের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। প্রচলিত নদী খনন সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও, এসব কার্যকলাপ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবাদি জমি খনন করছে , যা সরাসরি কৃষি জমির উপর প্রভাব ফেলছে এবং পরিবেশের জন্যও হুমকি স্বরূপ। এভাবে কৃষি জমি ধ্বংসের ফলে স্থানীয় কৃষকরা দিন দিন চাষা বাদের জমি হারাচ্ছে এবং জমির উর্বরতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
নদী খনন সংরক্ষণ আইন
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত নদী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাশয়, নদী বা খাল ভরাট ও ধ্বংস করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া, ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, আবাদি জমি বা জলাশয়ে যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ। এই আইন অনুযায়ী, কোনো জলাশয় বা নদী ভরাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি পেতে হবে এবং জরিমানা গুনতে হবে। তবুও, স্থানীয়ভাবে কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যক্তিস্বার্থে আবাদি জমি ও জলাশয় নষ্ট করে বেড়াচ্ছেন, যা ভবিষ্যৎ পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
প্রভাব ও ঝুঁকি:
আবাদি জমি ধ্বংসের ফলে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাশয় ধ্বংসের কারণে জলের স্তর কমে যাচ্ছে, ফলে কৃষি সেচে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে, জলাশয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জীবনও ঝুঁকিতে পড়েছে। জলাশয়গুলো না থাকলে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত সকল জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রশাসনের ভূমিকা:
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারি ও পদক্ষেপ প্রায়শই যথাযথ নয়। সাধারণ মানুষের দাবি, প্রশাসন যেন এ বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
নিরাপদ পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য সংরক্ষণে:
আবাদি জমি এবং জলাশয় সংরক্ষণ করা না হলে, ভবিষ্যতে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তাই প্রশাসনকে আইন কার্যকর করে পরিবেশ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।