আকাশ খান (জেলা প্রতিনিধি)
কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দিয়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে চোরাচালান ও অবৈধভাবে গরু আমদানি। ভারতের মেঘালয় প্রদেশের সংলগ্ন পাথরেরচর, খেওয়ার চর, আলগা চর , রৌমারীর বড়াইকান্দি দাঁতভাঙ্গা ,জনকির চর , তুরা রোড সহ রাজিব পুরের বালিয়ামারী সহ বিভিন্ন সীমান্তপথ ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে ঢুকছে হাজার হাজার গরু।
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই গরুগুলো অবৈধভাবে নিয়ে আসছে এবং বাংলাদেশের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে। এতে দেশীয় পশু ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে, এসব গরু চোরাচালানের পেছনে স্থানীয় কিছু দালাল ও চক্রের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানায়, অবৈধ গরু প্রবেশের সময় স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি অত্যন্ত দুর্বল। ফলে প্রতিদিনই এই রুট দিয়ে গরু প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামের একটি সীমানা রক্ষাকারী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা নিয়মিত টহল দিই। তবে এই চোরাচালান বন্ধ করতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা খুবই জরুরি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা এবং চোরাচালান চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
চোরাচালানের এই রমরমা ব্যবসা শুধু দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর নয়, এটি সীমান্তের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা এবং স্থানীয় জনসচেতনতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।