আকাশ খান (কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার শোলমারী ইউনিয়নে গতকাল ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ৭:৪৫ মিনিটে একটি ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের যুব বিভাগের শোলমারী ইউনিয়ন সেক্রেটারি মুসলিম উদ্দিন এবং ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ওপর আওয়ামী লীগ ও চরমোনাই গোষ্ঠীর ৮-৯ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটে বড়াইকান্দি বাজারে, যেখানে আক্রান্ত দুই নেতা গুরুতরভাবে আহত হন।
এই হামলার প্রতিবাদে ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে বড়াইকান্দি বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রৌমারী উপজেলার জামায়াতে ইসলামী আমির মোঃ হায়দার হোসেন এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
প্রতিবাদ মিছিলে রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো সাধারণ মানুষ, জামায়াতের কর্মী এবং ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এই হামলাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জানা গেছে, হামলায় আহত মুসলিম উদ্দিন এবং আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনার মাধ্যমে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা রাজনৈতিক উত্তেজনায় টালমাটাল হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
মিছিলে উপস্থিত নেতারা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে
বলেন, “এই হামলা দেশের রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার জন্য একটি বড় হুমকি। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি সেই চেতনার বিপরীতে চলছে।”
এই ঘটনা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রৌমারী উপজেলার জনগণ।
এলাকার সাধারণ মানুষ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।