কিশোরগঞ্জে ভূয়া মানবাধিকার চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে জেলা শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন, জেলার ইটনা উপজেলার এলোংজুড়ি গ্রামের মোঃ রমজান আলীর ছেলে এস এম ফারুক (৬৮), জেলা শহরের একরামপুর এলাকার মৃত মোঃ নাছির উদ্দিন বেপারীর ছেলে মোঃ জালাল উদ্দিন (৭০), করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামের ইচব আলীর ছেলে মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫), জেলা শহরের শোলাকিয়া নীলগঞ্জ রোড এলাকার মোঃ আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোঃ আরিফুল আউয়াল (৩৪), সদর উপজেলার বৌলাই দক্ষিন রাজকুন্তি গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ আল মামুন (৪০), জেলা শহরের বাদ শোলাকিয়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের মোঃ লিটন মিয়া (৪২), সদর উপজেলার বৌলাই দক্ষিন রাজকুন্তি এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে আজিজুল হক মাসুদ (৪৫), জেলা শহরের নীলগঞ্জ রোড চরশোলাকিয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫০), জেলা শহরের তারাপাশা এলাকার মোঃ শামছুল হকের ছেলে মোঃ এনামুল হক (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪ এর অধিনায়কের পক্ষে মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে জেলা শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকায় ভূয়া মানবাধিকার আইনি সহায়তা কেন্দ্র খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছিলো একটি প্রতারক চক্র। পরে বুধবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে আসামীদের প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতারণার মতো অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হবে।